মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠে ইরান। রাজধানী তেহরান, কেরমানশাহ, রাশত, ইস্পাহান এবং কোমাসহ ১৩টি শহরে সরকার বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয় কয়েক হাজার মানুষ।
এক পর্যায়ে বিক্ষোভ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে তা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায় রুহানি প্রশাসনের।
কিন্তু নিকট অতীতে রাজনৈতিকভাবে মোটামুটি শান্ত থাকা তেহরানের রাজপথ আকস্মিকভাবে এমন অস্থির হয়ে ওঠলো কেন? এর পেছনের কারণ কী? দেশটির প্রধান আইন কর্মকর্তার দাবি, এর পেছনে হাত রয়েছে বাইরের শক্তির।
আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর মোন্তাজারি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ গত চার বছর ধরে ইরানে সরকার উৎখাতের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছিল।
সিআইএ'র কাছে প্রকল্পটির নাম Consequential Convergence Doctrine. এটি বাস্তবায়নে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে সহায়তা করছিলো ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি দল। আর পুরো প্রক্রিয়ার অর্থায়নে আছে ইরানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব।
বিক্ষোভের মাধ্যমে দেশব্যাপী অস্থিরতা তৈরি করে জোরপূর্বক সরকারকে উৎখাত করার পরিকল্পনা ছিল দেশ তিনটির- এমনটাই দাবি মোন্তাজারির।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনাতেই এই নৈরাজ্য তৈরি করা হয়। যাতে সহায়ক ছিলো ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। আর অর্থায়নে ছিল সৌদি আরব। যার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানকে লিবিয়া-তিউনিসিয়ার মতো ধ্বংস করে ফেলা।
তেহরানের এমন দাবির আগেই অবশ্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানিয়ে তিন দিন আগে টুইট করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় ইরানের অস্থির পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু সরকারের 'সন্তুষ্টি'র খবর।
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দেয়ায় বিশ্বনেতাদের তোপের মুখে পড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। সহিংস পরিস্থিতির জন্য ওয়াশিংনটনকেও দায়ী করা হয়।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন, সন্ত্রাসবাদ, পরমাণু অস্ত্র, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ইরানের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।
কারণ আমরা মনে করি শুধু আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাই নয়, বিশ্ব শান্তির জন্য বড় ফ্যাক্টর ইরান। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো দেশের এমন মন্তব্য বা পদেক্ষেপ নেয়া উচিত নয়, যা এই স্থিতিশীলতাকে হুমকির দিকে ঠেলে দেয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানও তেহরানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে ট্রাম্পের অবস্থানের সমালোচনা করেন।
অন্যদিকে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেই ইরানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার অভিযোগ এনে ইরানের ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
দাবি করা হয়, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এবং উন্নয়নে জড়িত ছিল প্রতিষ্ঠানগুলো। যা ইরানের সাথে ছয় পরাশক্তির হওয়া পরমাণু চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের শামিল বলেও দাবি করা হয়।
এক পর্যায়ে বিক্ষোভ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে তা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায় রুহানি প্রশাসনের।
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর এত বড় ও সহিংস বিক্ষোভ আর দেখেননি ইরানবাসী। শুক্রবার পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ২২ জন বিক্ষোভকারী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাওয়া সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে মারা যান এরা।
কিন্তু নিকট অতীতে রাজনৈতিকভাবে মোটামুটি শান্ত থাকা তেহরানের রাজপথ আকস্মিকভাবে এমন অস্থির হয়ে ওঠলো কেন? এর পেছনের কারণ কী? দেশটির প্রধান আইন কর্মকর্তার দাবি, এর পেছনে হাত রয়েছে বাইরের শক্তির।
আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর মোন্তাজারি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ গত চার বছর ধরে ইরানে সরকার উৎখাতের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছিল।
সিআইএ'র কাছে প্রকল্পটির নাম Consequential Convergence Doctrine. এটি বাস্তবায়নে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে সহায়তা করছিলো ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি দল। আর পুরো প্রক্রিয়ার অর্থায়নে আছে ইরানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব।
বিক্ষোভের মাধ্যমে দেশব্যাপী অস্থিরতা তৈরি করে জোরপূর্বক সরকারকে উৎখাত করার পরিকল্পনা ছিল দেশ তিনটির- এমনটাই দাবি মোন্তাজারির।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনাতেই এই নৈরাজ্য তৈরি করা হয়। যাতে সহায়ক ছিলো ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। আর অর্থায়নে ছিল সৌদি আরব। যার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানকে লিবিয়া-তিউনিসিয়ার মতো ধ্বংস করে ফেলা।
তেহরানের এমন দাবির আগেই অবশ্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানিয়ে তিন দিন আগে টুইট করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় ইরানের অস্থির পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু সরকারের 'সন্তুষ্টি'র খবর।
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দেয়ায় বিশ্বনেতাদের তোপের মুখে পড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। সহিংস পরিস্থিতির জন্য ওয়াশিংনটনকেও দায়ী করা হয়।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন, সন্ত্রাসবাদ, পরমাণু অস্ত্র, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ইরানের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।
কারণ আমরা মনে করি শুধু আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাই নয়, বিশ্ব শান্তির জন্য বড় ফ্যাক্টর ইরান। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো দেশের এমন মন্তব্য বা পদেক্ষেপ নেয়া উচিত নয়, যা এই স্থিতিশীলতাকে হুমকির দিকে ঠেলে দেয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানও তেহরানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে ট্রাম্পের অবস্থানের সমালোচনা করেন।
অন্যদিকে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেই ইরানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার অভিযোগ এনে ইরানের ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
দাবি করা হয়, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এবং উন্নয়নে জড়িত ছিল প্রতিষ্ঠানগুলো। যা ইরানের সাথে ছয় পরাশক্তির হওয়া পরমাণু চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের শামিল বলেও দাবি করা হয়।
Post a Comment