ঘুমের মধ্যে কথা,ঘোর বিপদে আপনি!

Understanding Sleep Talking

Understanding Sleep Talking
ঘুমের মধ্যে অনেকেই কথা বলেন। কেউ চিৎকার করে, কেউ খুব ধীরে। কারও কথা আবার এতই জড়িয়ে যায়, যে তা পাশে শোয়া ব্যক্তিও উদ্ধার করতে পারে না।

 এরকমও হতে পারে, ঘুমের মধ্যে এমন কিছু বলে ফেললেন, যা খুব গোপনীয়। বা এমন কিছু বলে ফেললেন, যাতে আপনি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেলেন।


সম্প্রতি ফ্রান্সের একটি গবেষণা থেকে উঠে এসেছে, ঘুমের মধ্যে সাধারণত মানুষ অপমানজনক ও নেতিবাচক কথাই বলেন। জেগে থাকা অবস্থায় একজন যত বার ‘না’ বলেন, ঘুমের মধ্যে তার থেকে চার গুণ বেশি নেতিবাচক উক্তি করেন।

গবেষকরা এই গবেষণার মাধ্যমে দেখতে পান, যারা ঘুমের মধ্যে কথা বলেন, তাদের বেশির ভাগেরই রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্লিপ ডিসঅর্ডার বা প্যারাসমনিয়া।

ঘুমের মধ্যে মানুষ কী কী বলেন, তা জানার জন্য কয়েকজনের ঘুমন্ত অবস্থার কথা রেকর্ড করা হয়। দেখা যায় কেউ কেউ গালিগালাজও করেন। যত জনকে পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার মধ্যে ৫৯ শতাংশ বিড়বিড় আর ফিসফিস করেন।

কারোর কথা জড়িয়ে যায়। কেউ আবার চিৎকার করে হাসেন।

তবে যাদের কথা বোঝা যায়, তারা সাধারণত খারাপ কথাই বলেন। এই গবেষণায় ২৪ শতাংশকে নেতিবাচক কথা বলতে শোনা গিয়েছে। ২২ শতাংশ অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেন। বাকি ১০ শতাংশের বাক্যে বেশিটাই ‘না’।

আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন-এর মতে যারা অবসাদে ভোগেন, বা জ্বরবিকারগ্রস্ত বা কোনও কিছু থেকে নিজেকে বঞ্চিত মনে করেন, তাঁদেরই ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা থাকে।

আবার জিনগত ভাবেও অনেকে ঘুমিয়ে কথা বলেন। পুরুষ এবং শিশুদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

ঘুমের মধ্যে কথা বলা এড়াতে করণীয়-

প্রথমত, নিজেকে স্ট্রেসমুক্ত রাখুন। অবসাদে ভুগলে, অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিন।

দ্বিতীয়ত, ঘুম কম হলেও এই সমস্যা হয়। তাই দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোন।

তৃতীয়ত, ঘুমনোর আগে মদ্যপান বন্ধ করুন। অনেকেই ঘুমনোর আগে মিষ্টি বা অন্যান্য স্ন্যাক্স খান। এই অভ্যাস বন্ধ করুন।

Post a Comment

[blogger]

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget