বিশ্বে শীর্ষ দশটি দেশের সামরিক ব্যয়!

The restraints that have prevented open conflict so far remain in place

The restraints that have prevented open conflict so far remain in place
বিশ্বজুড়ে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে বাড়ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়িয়ে চলেছে নিজেদের সামরিক শক্তি। গড়ে তুলছে প্রতিরক্ষার প্রাচীর।

শনিবার স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিশ্ব পরাশক্তিদের সামরিক ব্যয়ের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যেখানে উঠে এসেছে দেশগুলোর সামরিক খাতে ব্যয়ের পরিমাণ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক শীর্ষ দশটি দেশের সামরিক ব্যয় সম্পর্কে-


সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে চীন, রাশিয়া, সৌদি আরব ও ভারতের নাম। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে সামরিক ব্যয় বাবদ বিশ্বজুড়ে ১ দশমিক ৬৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করা হয়েছে।

 এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একাই ব্যয় করেছে ৬১১ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল ২০১৫ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে এশিয়ার নতুন পরাশক্তি চীন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক বাজেটের এই দেশটির সামরিক খাতে ব্যয় ১১৮ শতাংশ বেড়েছে।

 ২০১৬ সালে ২১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক খাতে ব্যয় করেছে শি জিনপিং এর দেশ। যা ভারতের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি।

তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয় রাশিয়ার। ২০১৬ সালে দেশটি সামরিক খাতে ৬৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।

এর পরই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয় নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে সৌদি আরব।২০১৬ সালে তারা ব্যয় করেছে ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

পঞ্চম স্থানে আছে ভারত। তাদের সামরিক খাতের ব্যয় ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

ইউরোপে সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স, তবে বৈশ্বিকভাবে দেশটির অবস্থান ষষ্ঠ। ২০১৬ সালে সামরিক খাতে ফ্রান্স ব্যয় করেছে ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাত নম্বরে যুক্তরাজ্য আর অষ্টম স্থানে জার্মানি। ২০১৬ সালে ২.৯ শতাংশ সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ জার্মানি।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে এই অঞ্চলে সামরিক ব্যয় বাড়ছে।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস ইনস্টিটউট বলছে, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে বৈশ্বিকভাবে সামরিক খাতে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেশি ব্যয় হয়েছে। ২০১৬ সালে মোট বৈশ্বিক উৎপাদনের ২ দশমিক ২ শতাংশ এ খাতে ব্যয় করা হয়েছে, যা জনপ্রতি হিসেবে ২২৭ ডলারের সমান।

Post a Comment

[blogger]

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget