আপনি কীভাবে সফলতার সিঁড়ি চড়ছেন তা ভুলেও কাউকে জানাবেন না। এমনটা না করলে কিন্তু একদিন আপনি পিছিয়ে যাবেন, আর অন্য কেউ আপনার জায়গা নেবে। অনেক মেধাবীরাও জীবনে সফল হতে পারে না।
আবার কেউ কেউ অল্প মেধা নিয়েও সফলতার চূড়ায় উঠে যায়। এজন্য দৃষ্টিভঙ্গি বড় ভূমিকা রাখে। তাই দৃষ্টিভঙ্গি বদল করে ও কী করলে জীবনে সফল হতে পারবেন তা নিয়েও নিচে আলোচনা করা হল:
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন:
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করুন। সফল মানুষেরা তা সবসময়-ই করে থাকে। খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে দিনে কাজ ও পরিকল্পনা করার প্রচুর সময় পাবেন। দেখবেন দিনটা অনেক বড় হয়ে যাবে। প্রথম দিকে একটু অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে।
কথা কম কাজ বেশি :
প্রবাদটি আক্ষরিক অর্থেই সত্যি। সফল মানুষরা কথা কম বলেন। চুপচাপ থাকলে মনসংযোগ বাড়ে, নিজের সঙ্গে কথা বলুন। এতে কাজের মান বাড়বে।
লক্ষ্য স্থির করুন:
নিজে জীবনে কী করতে চান সেই বিষয়ে যদি আপনার স্বচ্ছ ধারনা থাকে তবেই আপনি জীবনে সফল হতে পারবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের পুরো দিনটা মনে মনে ছকে ফেলুন। সারা দিনে কী করতে চান, কোন কাজটা আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে তা মনে মনে ভেবে নিন। নিজেকে সফল ভাবতে শিখুন।
নিয়মিত সকালের নাস্তা করুন :
সারা দিন আপনার মুড ভাল রাখতে, আপনার এনার্জি বাড়াতে কিন্তু সকালে ঠিক করে খাওয়া প্রয়োজন। এ দিকে রোজ সকালে দেরিতে ওঠার জন্য আপনি ব্রেকফাস্টের সময়ই পান না। ব্যস্ততার দোহাই দেবেন না। সফল মানুষরা কিন্তু কখনই ব্রেকফাস্ট বাদ দেন না। তাই রোজ উপভোগ করে ব্রেকফাস্ট করুন।
চেকলিস্ট রাখুন :
গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রাখবেন না। আমরা কাজ ফেলে রাখি যত ক্ষণ না সেটা আবশ্যিক হয়ে পড়ে। রোজ কী কী করবেন চেক-লিস্ট বানিয়ে ফেলুন।
শুনতে জ্ঞানগর্ভ লাগলেও এটা অত্যন্ত ভাল অভ্যাস।
নিজেক মোটিভেট করুন :
আলস্য পেয়ে বসতে দেবেন না। সব সময় নিজের লক্ষ্য সামনে রাখুন। হাসির ছবি দেখুন, মন ভাল করে এমন কাজ করুন।
রিল্যাক্স করুন। যাতে চাপ কমে এমন কাজ করুন। এই ভাবে নিজেকে মোটিভেট করুন। স্ট্রেস ধারে কাছে ঘেঁষতে দেবেন না।
সক্রিয় হোন :
ঘুম থেকে উঠেই কাজ শুরু করতে সমস্যা হয়। বাড়ি ফিরেও ক্লান্ত লাগে। হালকা শরীরচর্চা তাই আপনাকে সক্রিয় রাখতে জরুরি।
রোজ ঘুম থেকে হালকা ব্যয়ামের রুটিন তৈরি করে ফেলুন। এতে পেশির শিথিলতা বাড়বে, রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়ে আপনার কর্মক্ষমতা বাড়বে।
বাড়ির খাবার খান :
অফিসে খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে লাঞ্চ, স্ন্যাকস নিয়ে যান। সফল হতে গেলে সুস্থ থাকতে হবে। তাই বাইরের খাবার না খেয়ে বাড়ির রান্না স্বাস্থকর খাবার খান।
এতে সময়ও বাঁচবে। কাজের ফাঁকেই খেয়ে নিতে পারবেন ফলে খাওয়ার সময়ই ঠিকঠাক থাকবে।
ডেস্ক থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন:
আপনার ঘর কি অগোছালো? অফিসের ডেস্কে প্রচুর ফালতু কাগজ? অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন। বাজে কাগজ বেশি থাকলে কাজের জিনিস খুঁজে পাবেন না। অন্য দিকে ঘর অগাছালো থাকলে আপনার কাজের এনার্জিও কমবে।
রাত জাগবেন না :
বেশি রাত পর্যন্ত না জেগে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। সুস্থ, সবল থাকতে রাতের ঘুম প্রয়োজনীয়। অকারণে তাই রাত জাগবেন না। ল্যাপটপ বা মোবাইলে গল্প করে সময় নষ্ট করবেন না রাতে। প্ল্যান করে কাজ করলে রাত জেগে আপনাকে ফেলে রাখা কাজও করতে হবে না।
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.