গুগল ম্যাপের যে ব্যবহারগুলো আপনার অজানা !

গুগল ম্যাপের যে ব্যবহারগুলো আপনার অজানা ! গুগল ম্যাপ হল গুগল দ্বারা তৈরি ও উন্নয়নকৃত একটি ওয়েব মানচিত্রায়ন পরিষেবা। এটি উপগ্রহ চিত্রাবলী, রাস্তার মানচিত্র, রাস্তার ৩৬০ প্যানোরাম (রাস্তার দৃশ্য বা স্ট্রিট ভিউ), বাস্তব সময়ের ট্রাফিক অবস্থা (গুগল ট্রাফিক) পরিষেবা প্রদান করে। গুগল মানচিত্র সাধারণত রাস্তার মানচিত্র দেখায়। পায়ে হাটার পথ, গাড়ি, মোটরবাইক (বেটা), পাবলিক পরিবহনের দ্বারা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি ‘রুট পরিকল্পনা’ (অর্থাৎ গন্তব্যে যাওয়ার দিক-নির্দেশনা) দিয়ে থাকে। এছাড়াও এতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহু শহরে ব্যবসার জন্য একটি ‘অবস্থান নির্ণায়ক’ অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু গুগল ম্যাপের কল্যাণে পৃথিবীর কোন প্রান্ত এখন আর অচেনা নেই। যেখানেই যেতে চাও না কেন, ম্যাপে সার্চ করলেই সঙ্গে সঙ্গে বের করে দেবে পথ, কীভাবে যেতে হবে সবকিছু। বিশ্ব জুড়ে গুগল ম্যাপ অসম্ভব জনপ্রিয় হলেও আমাদের দেশে এখনও অনেকেই এর সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি। তাহলে চলুন এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক- ম্যাপেই যানজটের হালচাল কেমন হয় যদি ম্যাপ দেখেই জেনে নেওয়া যায় কোন রাস্তায় জ্যাম আছে আর কোন রাস্তা ফাঁকা? তাহলে নিশ্চয়ই অনেক সময় বেঁচে যেত, তাইনা? সে সুযোগ করে দিতেই গুগল ম্যাপ নিয়ে এসেছে লাইভ ট্রাফিক আপডেট- এটি উন্নত বিশ্বে সেই ২০০৭ সাল থেকে চালু থাকলেও বাংলাদেশে চালু হয়েছে সম্প্রতি। এটি ব্যবহার করতে ম্যাপের মেনু থেকে ‘রিয়াল টাইম ট্রাফিক’-এ ক্লিক করে ‘ট্রাফিক’ অপশনে গিয়ে ‘লাইভ ট্রাফিক’ থেকে ‘টিপিক্যাল ট্রাফিক’ করে নাও। ট্রাফিক অপশনটি চালু হলে ম্যাপে রাস্তার ওপরে সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল রং দেখতে পাবে। সবুজ রঙ দেখা গেলে বুঝতে পারবে সে রাস্তায় এখন জ্যাম নেই। কমলা রঙ দেখা গেলে মাঝারি জ্যাম আর লাল রঙ থাকলে বুঝে নিতে হবে কঠিন যানজট, সে রাস্তা দিয়ে না যাওয়াই শ্রেয়! প্রশ্ন হচ্ছে কোন রাস্তায় জ্যাম আর কোন রাস্তা ফাঁকা- গুগল কীভাবে সেটি বের করে? গুগল সে খবর বের করতে “ক্রাউড সোর্সড ডাটা” ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ রাস্তায় যত মানুষ যানবাহনে চলাচল করছে তাদের স্মার্টফোনে যদি লোকেশন সার্ভিস অন করা থাকে তাহলে গুগল সেগুলো থেকে ট্রাফিকের ডাটা সংগ্রহ করে ইন্ডিকেটর তৈরি করে। এর মাধ্যমে গুগল রাস্তায় থাকা গাড়ির সংখ্যা, কত দ্রুত গাড়িগুলো চলছে সেগুলো হিসেব করে জানিয়ে দেয় জ্যামের খবারখবর। কম খরচে ম্যাপ ব্যবহার: Lite Mode আমরা অনেকেই মোবাইল ডেটার সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তাই গুগল ম্যাপ কিছুটা ব্যয়বহুল মনে হতে পারে। এজন্যই গুগলের চমৎকার একটি ফিচার হচ্ছে ‘গুগল লাইট’ যেখানে ইন্টারনেট খরচ অনেক কম। এই“Google map lite” লিখে গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবে। এখানে স্ক্রিনের ডান পাশে নিচের একটি লাইটনিং বাটন নিশ্চিত করবে যে তুমি লাইট মোডে আছো। ফেসবুকের যেমন রয়েছে ফেসবুক লাইট, কিংবা অপেরা মিনি, ইউসি মিনি, সে রকম, গুগল ম্যাপেরও সহজ মাধ্যম হচ্ছে গুগল ম্যাপ লাইট। সুতরাং তুমি ওয়াইফাই অথবা মোবাইল ডেটা যেটাই ব্যবহার করো না কেন, ম্যাপ চালাতে আদৌ তেমন খরচ হবে না, কিন্তু আসল ম্যাপের সবগুলো সুবিধাই মোটামুটি উপভোগ করতে পারবে। ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ কোথাও বেড়াতে গেছেন সেখানে ফোনে নেটওয়ার্ক নেই, রাস্তাও চিনেন না। এ সমস্যা সমাধানে কোথাও বেড়াতে যাবার আগে থেকেই সেই এলাকার ম্যাপ ডাউনলোড করে রাখতে পারেন স্মার্টফোনে। একবার একটি এলাকার ম্যাপ ডাউনলোড করে রাখলে কোন রকম ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই জেনে নেওয়া যাবে সেই এলাকার রাস্তাঘাট সবকিছু। যেকোন জায়গার দূরত্ব মাপার সুযোগ আপনি যদি জানতে চান ফার্মগেট থেকে মহাখালির দূরত্ব কতো, জানিয়ে দেবে গুগল ম্যাপ। এ জন্য প্রথমে যেখান থেকে দূরত্ব মাপতে চান সেই লোকেশনে ড্রপ পিন দিয়ে হোল্ড করতে হবে। তারপর ড্রপ পিন এ চাপ দিলে কতগুলো অপশন আসবে, সেখান থেকে “Measure Distance” এ ক্লিক করলেই দূরত্ব মাপা যাবে। কোথায় আছেন প্রতিমুহূর্তে জানিয়ে দেওয়ার সুযোগ একবার এক স্কুলছাত্র একাকী গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে বেচারা অপহরণকারীরা তাদের আস্তানায় পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই দেখে তাদের জন্য পুলিশ অপেক্ষা করে আছে। ব্যাপারটা কীভাবে ঘটলো সেটা বুঝে উঠার আগেই সবার হাতে হাতকড়া পড়লো, আর ঘরের ছেলে নিশ্চিন্তে ফিরে এলো ঘরে। পরে জানা গেল ছেলেটি সবসময় গুগল ম্যাপের মাধ্যমে সে কোথায় আছে সেটি জানিয়ে রাখতো তার বাবাকে, তাই যখনই বাবা দেখলেন ছেলের লোকেশন যেখানে যাওয়ার কথা সেখান থেকে অনেক দূরে, তখনই তার মনে সন্দেহ জাগে, পুলিশকে ফোন করেন। এজন্য ছেলেটি ব্যবহার করেছিল গুগল ম্যাপের “Share your location in real time” নামের একটি ফিচার। মেনু থেকে Share Location এ ক্লিক করে ডিউরেশন সিলেক্ট করে গুগল কনট্যাক্ট থেকে যাকে যাকে জানাতে চাও সিলেক্ট করলেই তাদের সঙ্গে লোকেশন শেয়ারিং শুরু করতে পারবে।

Google Map
গুগল ম্যাপ হল গুগল দ্বারা তৈরি ও উন্নয়নকৃত একটি ওয়েব মানচিত্রায়ন পরিষেবা। এটি উপগ্রহ চিত্রাবলী, রাস্তার মানচিত্র, রাস্তার ৩৬০ প্যানোরাম (রাস্তার দৃশ্য বা স্ট্রিট ভিউ), বাস্তব সময়ের ট্রাফিক অবস্থা (গুগল ট্রাফিক) পরিষেবা প্রদান করে।

গুগল মানচিত্র সাধারণত রাস্তার মানচিত্র দেখায়। পায়ে হাটার পথ, গাড়ি, মোটরবাইক (বেটা), পাবলিক পরিবহনের দ্বারা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি ‘রুট পরিকল্পনা’ (অর্থাৎ গন্তব্যে যাওয়ার দিক-নির্দেশনা) দিয়ে থাকে। এছাড়াও এতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহু শহরে ব্যবসার জন্য একটি ‘অবস্থান নির্ণায়ক’ অন্তর্ভুক্ত আছে।

কিন্তু গুগল ম্যাপের কল্যাণে পৃথিবীর কোন প্রান্ত এখন আর অচেনা নেই। যেখানেই যেতে চাও না কেন, ম্যাপে সার্চ করলেই সঙ্গে সঙ্গে বের করে দেবে পথ, কীভাবে যেতে হবে সবকিছু। বিশ্ব জুড়ে গুগল ম্যাপ অসম্ভব জনপ্রিয় হলেও আমাদের দেশে এখনও অনেকেই এর সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি।
তাহলে চলুন এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক-



ম্যাপেই যানজটের হালচাল

কেমন হয় যদি ম্যাপ দেখেই জেনে নেওয়া যায় কোন রাস্তায় জ্যাম আছে আর কোন রাস্তা ফাঁকা? তাহলে নিশ্চয়ই অনেক সময় বেঁচে যেত, তাইনা? সে সুযোগ করে দিতেই গুগল ম্যাপ নিয়ে এসেছে লাইভ ট্রাফিক আপডেট- এটি উন্নত বিশ্বে সেই ২০০৭ সাল থেকে চালু থাকলেও বাংলাদেশে চালু হয়েছে সম্প্রতি।
এটি ব্যবহার করতে ম্যাপের মেনু থেকে ‘রিয়াল টাইম ট্রাফিক’-এ ক্লিক করে ‘ট্রাফিক’ অপশনে গিয়ে ‘লাইভ ট্রাফিক’ থেকে ‘টিপিক্যাল ট্রাফিক’ করে নাও।

ট্রাফিক অপশনটি চালু হলে ম্যাপে রাস্তার ওপরে সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল রং দেখতে পাবে। সবুজ রঙ দেখা গেলে বুঝতে পারবে সে রাস্তায় এখন জ্যাম নেই। কমলা রঙ দেখা গেলে মাঝারি জ্যাম আর লাল রঙ থাকলে বুঝে নিতে হবে কঠিন যানজট, সে রাস্তা দিয়ে না যাওয়াই শ্রেয়!

প্রশ্ন হচ্ছে কোন রাস্তায় জ্যাম আর কোন রাস্তা ফাঁকা- গুগল কীভাবে সেটি বের করে? গুগল সে খবর বের করতে “ক্রাউড সোর্সড ডাটা” ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ রাস্তায় যত মানুষ যানবাহনে চলাচল করছে তাদের স্মার্টফোনে যদি লোকেশন সার্ভিস অন করা থাকে তাহলে গুগল সেগুলো থেকে ট্রাফিকের ডাটা সংগ্রহ করে ইন্ডিকেটর তৈরি করে। এর মাধ্যমে গুগল রাস্তায় থাকা গাড়ির সংখ্যা, কত দ্রুত গাড়িগুলো চলছে সেগুলো হিসেব করে জানিয়ে দেয় জ্যামের খবারখবর।

কম খরচে ম্যাপ ব্যবহার: Lite Mode

আমরা অনেকেই মোবাইল ডেটার সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তাই গুগল ম্যাপ কিছুটা ব্যয়বহুল মনে হতে পারে। এজন্যই গুগলের চমৎকার একটি ফিচার হচ্ছে ‘গুগল লাইট’ যেখানে ইন্টারনেট খরচ অনেক কম। এই“Google map lite” লিখে গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবে।

এখানে স্ক্রিনের ডান পাশে নিচের একটি লাইটনিং বাটন নিশ্চিত করবে যে তুমি লাইট মোডে আছো। ফেসবুকের যেমন রয়েছে ফেসবুক লাইট, কিংবা অপেরা মিনি, ইউসি মিনি, সে রকম, গুগল ম্যাপেরও সহজ মাধ্যম হচ্ছে গুগল ম্যাপ লাইট। সুতরাং তুমি ওয়াইফাই অথবা মোবাইল ডেটা যেটাই ব্যবহার করো না কেন, ম্যাপ চালাতে আদৌ তেমন খরচ হবে না, কিন্তু আসল ম্যাপের সবগুলো সুবিধাই মোটামুটি উপভোগ করতে পারবে।

ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ

কোথাও বেড়াতে গেছেন সেখানে ফোনে নেটওয়ার্ক নেই, রাস্তাও চিনেন না। এ সমস্যা সমাধানে কোথাও বেড়াতে যাবার আগে থেকেই সেই এলাকার ম্যাপ ডাউনলোড করে রাখতে পারেন স্মার্টফোনে। একবার একটি এলাকার ম্যাপ ডাউনলোড করে রাখলে কোন রকম ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই জেনে নেওয়া যাবে সেই এলাকার রাস্তাঘাট সবকিছু।

যেকোন জায়গার দূরত্ব মাপার সুযোগ

আপনি যদি জানতে চান ফার্মগেট থেকে মহাখালির দূরত্ব কতো, জানিয়ে দেবে গুগল ম্যাপ। এ জন্য প্রথমে যেখান থেকে দূরত্ব মাপতে চান সেই লোকেশনে ড্রপ পিন দিয়ে হোল্ড করতে হবে। তারপর ড্রপ পিন এ চাপ দিলে কতগুলো অপশন আসবে, সেখান থেকে “Measure Distance” এ ক্লিক করলেই দূরত্ব মাপা যাবে।
কোথায় আছেন প্রতিমুহূর্তে জানিয়ে দেওয়ার সুযোগ

একবার এক স্কুলছাত্র একাকী গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে বেচারা অপহরণকারীরা তাদের আস্তানায় পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই দেখে তাদের জন্য পুলিশ অপেক্ষা করে আছে।

ব্যাপারটা কীভাবে ঘটলো সেটা বুঝে উঠার আগেই সবার হাতে হাতকড়া পড়লো, আর ঘরের ছেলে নিশ্চিন্তে ফিরে এলো ঘরে। পরে জানা গেল ছেলেটি সবসময় গুগল ম্যাপের মাধ্যমে সে কোথায় আছে সেটি জানিয়ে রাখতো তার বাবাকে, তাই যখনই বাবা দেখলেন ছেলের লোকেশন যেখানে যাওয়ার কথা সেখান থেকে অনেক দূরে, তখনই তার মনে সন্দেহ জাগে, পুলিশকে ফোন করেন।

এজন্য ছেলেটি ব্যবহার করেছিল গুগল ম্যাপের “Share your location in real time” নামের একটি ফিচার। মেনু থেকে Share Location এ ক্লিক করে ডিউরেশন সিলেক্ট করে গুগল কনট্যাক্ট থেকে যাকে যাকে জানাতে চাও সিলেক্ট করলেই তাদের সঙ্গে লোকেশন শেয়ারিং শুরু করতে পারবে।

Post a Comment

[blogger]

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget