আর যদি সকালে গোসল করতে হয় তাহলে তো কোনও কথাই নেই। ঘুম থেকে উঠেই যেন কান্না পায়। এই কষ্টের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই গরম পানিতে গোসল করেন। যতই আরাম হোক না কেন, এই গরম পানির গোসল হতে পারে নানা ক্ষতির কারণ।
১। গরম পানি ত্বকের জন্য একেবারেই ভালো না। শীতকালে এমনিতেই ত্বক ও চুল রুক্ষ হয়ে যায়। আর ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই গরম পানিতে গোসল করেন।
কিন্তু, গরম পানি ত্বক ও চুলকে আরও রুক্ষ করে তোলে। তাই নিজের চুল ও ত্বকের কথা চিন্তা করে ঠান্ডা পানিকে হোসল করাই উত্তম।
২। ঠান্ডা পানি রক্তে শ্বেত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। ঠান্ডা পানিতে গোসল করার ফলে ত্বকও ঠান্ডা হয়ে পড়ে। ফলে তা গরম করার জন্য ত্বক নিজেই তাপ উৎপাদন করতে শুরু করে। এই তাপ উৎপাদনের সময় শ্বেত রক্ত কণিকা জন্মাতে থাকে। যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না বাড়লে সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা যায়।
৩। ঠান্ডায় ব্যথা যেন একটু বেড়ে যায়। ঠুক করে কোথাও লাগলেই ব্যথা করে। এছাড়া মাসেল পেন তো খুব স্বাভাবিক বিষয়। আর এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে অবশ্যই ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন। মাসেলের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ঠান্ডা পানি।
৪। ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে ঠান্ডা পানি। সারাদিন কাজ করার পর হয়তো গরম পানিতে গোসল করে অনেকেই আরাম পান। কিন্তু, ক্লান্তি দূর করে শরীরকে চনমনে করে তুলতে অনেক বেশি সাহায্য করে ঠান্ডা পানি। করে দেখুন তাহলেই বুঝতে পারবেন।
৫। সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজে যেতেই হবে কিছু করার নেই। ঠান্ডা বলে যে কাজে যাবেন না সেটা হবে না। সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব থাকলেও কেমন যেন লাগে। গোটা দিনটাই বৃথা বলে মনে হয়। তাই ঘুমভাব কাটাতে শরীরকে সতর্ক করে তোলার জন্য ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন। দেখবেন এক নিমেষে কেটে গেছে ঘুম। ঠান্ডা পানি শরীরকে অনেক বেশি সজাগ করে তোলে।
৬। এছাড়া ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে পুরনো কিছু ব্যাথা কমে আসতে পারে। পাশাপাশি চুলকানি দূর হয়, চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়, দেহের অস্বস্তিকর উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং কিছু স্নায়বিক দুর্বলতা দূর হয়।
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.